বিশ্ব মিডিয়ার প্রধান শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ। গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার জন্য দায়ী হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে এই আন্তর্জাতিক আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই রায় দ্রুতই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রবল গুরুত্ব পেয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, গত বছর কাকতালীয়ভাবে সংঘটিত ছাত্র-অভ্যুত্থানের সময় ঘটে যা মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য এই নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করে। এতে বিচারপতি মা. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আদালত তিনজনের ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রকাশ করে। অন্য দুই বিচারপতি হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আদালত জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি গুরুতর অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একটিতে তাকে দেশের বিভিন্ন আন্দোলন দমন করার জন্য দায়ী করে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও অন্য দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এর মাধ্যমে বলা হয়েছে, এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিচারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই রায় ঘোষণা হওয়ার পর ঢাকার আদালত কক্ষেই উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। মানুষ হাততালি ও উল্লাস করতে শুরু করে, কারণ দীর্ঘদিনের বিচার শেষে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। বিচারকরা বলছেন, এই রায় বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানাচ্ছে, গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে দমন-পীড়নের জন্য শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে পলাতক থাকলেও, তাঁকে এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তাদের ধারণা, এই রায় বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনীতি এবং বিচারব্যবস্থার জন্য নতুন এক দৃষ্টিকোণ তৈরি করেছে।
Leave a Reply